আমরা প্রতি জোর ঘরে ঘরে লক্ষী মেয়ে চাই
আমরা প্রতি জোর ঘরে ঘরে লক্ষী মেয়ে চাই, লক্ষী বউ চাই এমনকি লক্ষী ছেলেও চাই । আমরা চাই সবাই লক্ষী হয়ে থাকুক আমাদের ইচ্ছামতো কাজ করুক । আসলে আমরা লক্ষী বলতে আমাদের ইচ্ছাপূরণের চাবিকাঠি চাই, যে শুধু রোবটের মতো আমাদের শুধু দিয়েই যাবে তার নিজের কোনো চাহিদা থাকবে না , আমরা এমন মানুষকেই লক্ষী হিসেবে চাই
যে কারণে আমরা প্রতিটা ঘরে ঘরে লক্ষী মেয়েকেই চাই সেই কারণ জানলে স্বয়ং লক্ষীদেবীই পূজো নিতে ভয় পাবেন।
হ্যাঁ , একদমই তাই । আমরা চাই এমন এক লক্ষী মেয়ে ঘরে জন্ম নিক , যে সাত চড়েও মুখ দিয়ে ড়া বের করবে না
আমরা চাই এমন ল্ক্ষী , যে শুধু সংসার কে দিয়েই যাবে, প্রতিদানে তার নিজের শখ বা আহ্লাদ কোনোটাই থাকবে না।
যদি তুমি রাত করে বাড়ি ফেরো তবে তুমি লক্ষী নও।
যদি তুমি বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও নিজের ইচ্ছেপূরণের জন্য বিয়ে করতে না চাও, তবে তুমি কীসের লক্ষী?
যদি তুমি উচিত কথা সব জায়গায় মুখ ফুটে বলে ফেলো তবে তো তুমি লক্ষী নও। মুখ বন্ধ ই যদি না করতে পারো তবে তুমি কীসের লক্ষী।
আমাদের সমাজ প্রাচীন কাল থেকেই লক্ষীর একটা ধাঁচ তৈরি করে রেখেছে, আমরা ঘরে ঘরে লক্ষীর সেই ধাঁচ চাই
এইজন্যই আমরা ঘরে ঘরে বৌমা হিসেবে এমন লক্ষী মেয়ে চাই , প্রচুর মেধা থাকাস্বত্ত্বেও যাকে বাড়ির প্রতিটা কাজ শিখতে হবে , যার ভোকাল কর্ড থাকবে কিন্তু বাকস্বাধীনতা থাকবে না , যাকে রিজিওনাল থেকে কন্টিনেন্টাল সব ধরনের রান্নাতেই পটু হতে হবে এবং রাতের বেলা ছেলের পাশে বেশি দুষ্টুমি না করে লক্ষী মেয়ের মতো শুয়ে পড়তে হবে।
এমন চাপিয়ে দেওয়া সংজ্ঞাকে পুরোপুরি বদলে ফেলুক আজকের লক্ষ্মীরা। ধনসম্পদ প্রাচুর্য অর্থের চাবিকাঠি নয় বরং লক্ষ্যপূরণই হোক না লক্ষী নামের অর্থ ! কোজাগরী রাত জেগে অর্চিত দেবীকে নয়,আজীবন জাগ্রত এক লক্ষ্যকেই মানুষ জানুক লক্ষ্মী হিসেবে।
স্থির বিশ্বাসে অবিচল আস্থায় পাওয়া এক বা একাধি
Comments
This post currently has no comments.